প্রেস নোট
21/৪/২০২০
সাতক্ষীরা জেলায় কোভিড-19 চিকিৎসায় সার্বিক প্রস্তুতিঃ
ক্র: |
চিকিৎসা কেন্দ্র |
সংখ্যা |
মোট বেড |
কোভিড-19 চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড |
ডাক্তার সংখ্যা |
নার্সের সংখ্যা |
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) |
|
মজুদ |
বিতরণ |
|||||||
1. |
সরকারি |
8 |
631 |
54 |
1২৩ |
289 |
1৯৪৪ |
1০৪৭ |
2. |
বেসরকারি |
24 |
420 |
0 |
130 |
240 |
0 |
0 |
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসায় ০৩ টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮ টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০ টি নিবুলাইজার পস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা নিবেদিত হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ১০০ টি বিছানা প্রস্তুত রয়েছে।
সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ২৩৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ৩৫ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এনজিও উত্তরণের সহায়তায় সাতক্ষীরার জেলা ও উপজেলার হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। আজ সকালে এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
সাতক্ষীরার ৪৫০ মোটর শ্রমিকের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কাল সন্ধ্যায় শহরের বাঁকাল, বৈকারি, চাঁদপুর, বাবুলিয়া, বাগানবাড়ি এর ৭ টি স্থানে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ এ কার্যক্রমে মনিটরিং করেন। এছাড়া, ট্রাক শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৬০০ জন পরিবহন শ্রমিকের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সংকটকালীন সময়ে কর্মহীন বন্দর শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক, সেলুন শ্রমিক, ভ্যানচালক, মোটরবাইক চালক, ইজিবাইক চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণির অসহায় মানুষের মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা থেকে যে সকল কৃষক ধান কাটতে অন্য জেলায় যেতে চান তাদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকদের যাতে কষ্ট করে উপজেলা পরিষদে আসতে না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যনে আবেদন সংগ্রহ করা হচ্ছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের অন্য জেলায় যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হবে। সেইসাথে সাতক্ষীরা জেলাতে ধান কাটতে যেন কোন সমস্যা না হয় তার জন্য কৃষকের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রস্তুত করা হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ হতে বিতরণঃ
|
উপজেলা |
খাদ্য সহায়তা |
নগদ অর্থ |
শিশু খাদ্য |
মোট |
সাহায্য প্রাপ্ত পরিবারের সংখ্যা |
|
১ |
২ |
৩ |
৪ |
(৩+৪) = 6 |
|
1. |
সাতক্ষীরা সদর |
161 মেঃ টন |
5,33,500/- |
1,05,076/- |
6,38,576/- |
১৫৯০০ |
2. |
কলারোয়া |
92 মেঃ টন |
3,90,000/- |
59,908/- |
4,49,908/- |
৯০০০ |
3. |
তালা |
105 মেঃ টন |
4,32,000/- |
61,908/-- |
4,93,908/- |
১০৫০০ |
4. |
আশাশুনি |
97 মেঃ টন |
4,43,000/- |
61,145/- |
5,04,145/- |
৭২০০ |
5. |
দেবহাটা |
66 মেঃ টন |
3,07,000/- |
44,931/- |
3,51,931/- |
৫৯০০ |
6. |
কালিগঞ্জ |
96 মেঃ টন |
4,19,500/- |
61,908/- |
4,81,408/- |
৯৬০০ |
7. |
শ্যামনগর |
116 মেঃ টন |
4,65,000/- |
1,05,076/- |
5,70,076/- |
১০৪০০ |
8. |
সাতক্ষীরা পৌরসভা |
108 মেঃ টন |
4,52,000/- |
69,885/- |
5,21,885/- |
৯৩০০ |
9. |
কলারোয়া পৌরসভা |
3৪ মেঃ টন |
1,08,000/- |
29,954/- |
1,37,954/- |
৩১০০ |
10. |
মোট |
৮75 মেঃ টন |
35,50,000/- |
5,99,791/- |
41,49,791/- |
৮০,৯০০ |
সাতক্ষীরা জেলার ঘরে থাকা স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রুপ ভিত্তিক রচনা, গল্প, কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীর নাম, শ্রেণি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোবাইল নাম্বারসহ তাদের লেখা আগামী ৩০ এপ্রিল তারিখের মধ্যে dcsatkhira1984@gmail.com এইমেইল ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন।লেখার বিষয় ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আজ সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরন ও অভি্যান চলমান রয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও সরকারি আদেশ অমান্য করে ৬ টার পর দোকান খোলা রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অপরাধে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে সর্বশেষ তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে ৭৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে তালা উপজেলায় ৪ টি মামলায় ১৮00 টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ১ টি মামলায় ২০০ টাকা, আশাশুনি ৪ টি মামলায় ৭০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ২ মামলার ৭০০ টাকা এবং জেলা প্রশাসনের ৩ মামলায় ২৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে মোট ২০০৩ টি মামলায় ১৯৫৬ জন ব্যাক্তি ও ৪৭ টি প্রতিষ্ঠানকে ২০ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিসে ত্রাণ তহবিল খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রদান করেছেন। তালা-কলারোয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুজিবর রহমান রহমান জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রবাসী ভাইবোনেরাও সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছেন।
সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলায় বেসরকারি ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের একদিনের বেতন সমপরিমাণ অর্থ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ তাদের বেতন এবং প্রবাসী ও ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীগণ তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য প্রদান করছেন। কালিগঞ্জে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাওয়া গিয়েছে যার দ্বারা ৪০০০ মানুষকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে ও পর্যায়ক্রমে আরও সাহায্য করা হবে। তালায় প্রায় ৪.৫ লক্ষ টাকা বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাওয়া গেছে। দেবহাটায় ২.৬৫ লক্ষ টাকা বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে জমা হয়েছে যার দ্বারা ৫ টন চাল ক্রয় করা হয়েছে। আশাশুনিতে ৫ লক্ষ টাকা বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে জমা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাতেও বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষ সাহায্য প্রদান করছেন।
7 জন সাতক্ষীরা যুব ভবনে কোয়ারান্টাইনে এবং ৫ জন সাতক্ষীরা মেডিকেলে আইসোলেসনে আছেন। জেলা প্রশাসক সার্বক্ষণিক তাদের খোজখবর নিচ্ছেন। তাদের থাকা, খাওয়সহ সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসক মনিটরিং করছেন।
তথ্য অধিদপ্তরের একটি সহ মোট ৩টি সচেতনতামূলক মাইকিং অব্যাহত আছে। সাতক্ষীরা শহরে এবং প্রতিটি উপজেলায় রাস্তায় রাস্তায় জীবাণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় পানি ছিটানো অব্যাহত আছে। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ১০০০ লিটারের ২টি পানির ট্যাংকের মাধ্যমে জীবানু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে 3১৭০০ মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলায় ৬০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সকল কার্যক্রম ফেসফুকে নিয়মিত পোস্ট করা হয়। প্রতিদিন রাত ৮ টায় ফেসবুক লাইভ এবং লোকাল ক্যাবল টিভির মাধ্যমে জেলার সামগ্রিক কার্যক্রম জেলা প্রশাসক তুলে ধরেন।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটকালীন এই সময়ে বাজারে জনসমাগম কমাতে জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮ টা থেকে চালু হয়েছে চারটি ভ্রাম্যমাণ বাজার।যার একটি শহরের সিটি কলেজ মোড় হয়ে খুলনা মোড়, চায়না বাংলা শপিং মল, সংগীতার মোড় ও ইটাগাছা মোড়ে অবস্থান করবে অপরটি নারকেলতলা হয়ে, পোস্ট অফিস মোড়, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, সদর উপজেলা পরিষদ ও কলেজ মোড়ে একঘন্টা করে অবস্থান করে।জেলা প্রশাসনের এই ভ্রাম্যমাণ বাজারে চাল, ডাল, আলু পিয়াজ, তেল মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি পাওয়া যাচ্ছে। নো প্রফিট নো লস এই ধারনাকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য জনসমাগম কমানো ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।সকল উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদে ভ্রাম্যমাণ বাজার কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা ও পৌরসভার 809০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সকল সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে সকলকে ব্যাগের গায়ে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” কতাটি লিখে দেয়া হচ্ছে।
জেলার সামগ্রিক ত্রাণ বিতরণ (মধ্যবিত্ত ও শ্রমিক শ্রেণি) ও ভ্রাম্যমান বাজারের চিত্রঃ
ত্রাণ বিতরণ |
|||
নাম |
মধ্যবিত্ত শ্রেণী |
শ্রমিক শ্রেণী |
ভ্রাম্যমান বাজার গঠন |
সাতক্ষীরা সদর |
দুটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে ত্রাণ দেয়া হয়েছে । ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ ত্রাণ বিতরণ করছেন। |
মাছখোলা ও ব্রহ্মরাজপুর বাজারকে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল সাতক্ষীরা সদরের প্রতিটি ইউনিয়ন এ ৫ টি করে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হবে। |
|
তালা |
৬০০ |
১২০০ |
২৫ টি বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে। ১৩ টি ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে ইউনিয়নওয়ারী ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হবে। |
কলারোয়া |
৬০ |
৩০০ |
৭ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে |
কালিগঞ্জ |
১৫০ |
বাস শ্রমিক ৩০০, ভ্যান চালক ৮০০ |
প্রতিটি ইউনিয়নে মোট ১০৫ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। ফেসবুক ভিত্তিক কালিগঞ্জ অনলাইন ফ্রেশ মিট অ্যান্ড ফিস মার্কেট এবংকালিগঞ্জ অনলাইন মার্কেট চালু করা হয়েছে। |
আশাশুনি |
৪০ |
১৩০ |
২১ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে |
শ্যামনগর |
১৫০০ |
৪৯০০ |
১১ টি বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে। ১৮ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। |
দেবহাটা |
১২০ |
পরিবহণ শ্রমিক ২25, ভ্যান চালক ৮৭০, অটো চালক ৩০০ |
৭ টি বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে। ৮ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে |
জেলা প্রশাসন |
৫৮৫ |
বাস শ্রমিক ৭০০, ট্রাক চালক ১৪০০, ভোমরা বন্দরের ২০০০, মোটর শ্রমিক ৪৫০ |
৪ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। |
সাতক্ষীরা পৌরসভা |
১০০০ |
২০০ |
সুলতানপুর বড় বাজারকে পিটিআই মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। |
গত 4/5 দিনে নারায়নগঞ্জ, মাদারিপুর এবং শরিয়তপুর থেকে সেখানে ঘোষিত লক ডাউনের মধ্যেও 1২ হাজারের মত মানুষ সাতক্ষীরা জেলাতে এসেছে। এদের মধ্যে 2977 জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং ৮983 জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৫ জন, শ্যামনগর উপজেলায় ১০৮ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৬৩৩ জন এবং আশশুনি উপজেলায় ২৫ জন, দেবহাটা উপজেলায় ৩৩৩ জন, তালা উপজেলায় ১০00 জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। যারা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পথে। বাকিরা চলে যাওয়ার পর অন্য জেলা থেকে যারা আসবে তাদের হোম কোয়ারিন্টিন নিশ্চিত করা হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন এমন মধ্যবিত্ত পরিবারের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করে এখন পর্যন্ত 5৭৭ পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবার ছাড়াও অনেকে অতিরিক্ত এসএমএসও ফোন দিচ্ছেন। সেকারণে এসএমএসএর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমটি বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, জেলা প্রশাসকের মোবাইলে যারা মেসেজ করেছেন তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মেয়র, উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। আপনারা যারা এখনো সহযোগিতা পাননি তারা খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে যাবেন।
প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাহিরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ত্রাণের ব্যাগে জেলার শাক সবজি দিতে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হবে। ঘরে থাকুন, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন, নিরাপদে থাকুন। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ।
জনস্বার্থে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এস এম মোস্তফা কামাল
জেলা প্রশাসক
সাতক্ষীরা
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস