১৮/৪/২০২০
খুলনা বিভাগের মান্যবর বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসকগণের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন। জেলা প্রশাসক, এস এম মোস্তফা কামাল তার বক্তব্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলার প্রস্তুতি তুলে ধরেন। সেইসাথে কর্মহীন মধ্যবিত্ত পরিবারের সমস্যা এবং সাতক্ষীরা জেলার চিংড়ি চাষীদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপঃ
১. জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে ভালোভাবে ম্যানেজ করতে হবে।
২. ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. হাটবাজার বড় জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে।
৪. কৃষি উৎপাদন, পরিবহন এবং বাজারজাত যাতে ঠিকমতো হয় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. করোনা পরিস্থিতির কারণে কৃষি শ্রমিকদের সহায়তা দিতে হবে।
৬. কৃষি এবং জরুরি পণ্যের পরিবহন সচল রাখতে হবে।
৭. সার, বীজ, কীটনাশকের দোকান খোলা থাকবে।
৮. ওএমএস চালু হবে।
৯. যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১০. অন্য জেলা যারা আসছে তাদের তালিকাভুক্ত করা এবং কোয়ারেন্টিন শেষে তাদেরকে কৃষি কাজে লাগানো যেতে পারে।
১১. ত্রান বিতরণে যারা অনিয়ম দুর্নীতি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২. মোবাইল কোর্টের আওতায় পড়লে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৩. প্যাকেটজাত পণ্য পরিবহনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৪. পণ্য প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি খোলা রাখতে হবে।
১৫. উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
১৬. সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে।
১৭. মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কথা ভাবতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটকালীন এই সময়ে বাজারে জনসমাগম কমাতে জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮ টা থেকে চালু হচ্ছে দুইটি ভ্রাম্যমাণ বাজার।যার একটি শহরের সিটি কলেজ মোড় হয়ে খুলনা মোড়, চায়না বাংলা শপিং মল, সংগীতার মোড় ও ইটাগাছা মোড়ে অবস্থান করবে অপরটি নারকেলতলা হয়ে, পোস্ট অফিস মোড়, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, সদর উপজেলা পরিষদ ও কলেজ মোড়ে একঘন্টা করে অবস্থান করে।জেলা প্রশাসনের এই ভ্রাম্যমাণ বাজারে চাল, ডাল, আলু পিয়াজ, তেল মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি পাওয়া যাচ্ছে। নো প্রফিট নো লস এই ধারনাকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য জনসমাগম কমানো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মূল উৎস হতে আপনাকে নিরাপদ রাখা, সাতক্ষীরাকে নিরাপদ রাখা। এছাড়া, জেলা সদর, সকল উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদে ভ্রাম্যমাণ বাজার কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সংকটকালীন সময়ে কর্মহীন হোটেল শ্রমিক, সেলুন শ্রমিক, ভ্যানচালক, মোটরবাইক চালক, ইজিবাইক চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণির অসহায় মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।এর অংশ হিসেবে আজ ভোমরা বন্দরে কর্মরত ২০০০ শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন থাকুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করুন। যেহেতু করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কোন প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কৃত হয় নাই এবং দেশে এর সংক্রমণ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে তাই সকলের সম্বলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিরোধ করাই একমাত্র উপায়।
সাতক্ষীরা জেলার ঘরে থাকা স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রুপ ভিত্তিক রচনা, গল্প, কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীর নাম, শ্রেণি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোবাইল নাম্বারসহ তাদের লেখা আগামী ৩০ এপ্রিল তারিখের মধ্যে dcsatkhira1984@gmail.com এইমেইল ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন।লেখার বিষয় ছাত্র ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আজ সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরন ও অভি্যান করা হয়েছে। জেলায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সমন্বয়ে পুলিশ, আনসার, র্যাব, সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও সরকারি আদেশ অমান্য করে ৬ টার পর দোকান খোলা রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অপরাধে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে সর্বশেষ তথ্যমতে এখন পর্যন্ত 2৮ টি অভিযানে ২৫ টি মামলায় ১৫৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে তালা উপজেলায় ২ টি মামলায় ১০00 টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ৭ টি মামলায় ২২০০ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৬ টি মামলায় ৪৯০০ টাকা, আশাশুনি ৩ টি মামলায় ১১০০ টাকা, এবং জেলা প্রশাসনের ১০ মামলায় ৬৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে মোট ১৯৪৮ টি মামলায় ২০ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিসে ত্রাণ তহবিল খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রদান করেছেন।
তথ্য অধিদপ্তরের একটি সহ মোট ৩টি সচেতনতামূলক মাইকিং অব্যাহত আছে। সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্যে অনুরোধ করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা শহরে এবং প্রতিটি উপজেলায় রাস্তায় রাস্তায় জীবাণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় পানি ছিটানো অব্যাহত আছে। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ১০০০ লিটারের ২টি পানির ট্যাংকের মাধ্যমে জীবানু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে 3১৭০০ মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলায় ৬০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। জেলার সকল বাজারে ধান কেনা বেচার দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সাতক্ষীরা জেলায় কোভিড-19 চিকিৎসায় সার্বিক প্রস্তুতিঃ
ক্র: |
চিকিৎসা কেন্দ্র |
সংখ্যা |
মোট বেড |
কোভিড-19 চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড |
ডাক্তার সংখ্যা |
নার্সের সংখ্যা |
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) |
|
মজুদ |
বিতরণ |
|||||||
1. |
সরকারি |
8 |
631 |
54 |
1২৩ |
289 |
1489 |
1231 |
2. |
বেসরকারি |
24 |
420 |
0 |
130 |
240 |
0 |
0 |
জেলা প্রশাসনের সকল কার্যক্রম ফেসবুকে নিয়মিত পোস্ট করা হয়। প্রতিদিন রাত ৮ টায় ফেসবুক লাইভ এবং লোকাল ক্যাবল টিভির মাধ্যমে জেলার সামগ্রিক কার্যক্রম জেলা প্রশাসক তুলে ধরেন।
জেলার সামগ্রিক ত্রাণ বিতরণ ও ভ্রাম্যমান বাজারের চিত্রঃ
ত্রাণ বিতরণ |
|||
নাম |
মধ্যবিত্ত শ্রেণী |
শ্রমিক শ্রেণী |
ভ্রাম্যমান বাজার গঠন |
সাতক্ষীরা সদর |
দুটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে ত্রাণ দেয়া হয়েছে । ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ ত্রাণ বিতরণ করছেন |
মাছাখোলা ও ব্রহ্মরাজপুর বাজারকে স্থানান্তর করা হয়েছে |
|
তালা |
৫০০ |
১০০০ |
২৫ টি বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে |
কলারোয়া |
৫০ |
২৫০ |
৫ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে |
কালিগঞ্জ |
৮০ |
বাস শ্রমিক ৩০০, ভ্যান চালক ৮০০ |
প্রতিটি ইউনিয়নে মোট ৭৬ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে |
আশাশুনি |
৩০ |
৬০ |
৩টি ইউনিয়নে ৪ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে |
শ্যামনগর |
১৫০০ |
৪৯০০ |
২ টি বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে |
দেবহাটা |
১২০ |
পরিবহণ শ্রমিক ২০০, ভ্যান চালক ৮৭০, অটো চালক ৩০০ |
মাঠে মাঠে বাজার বাজার স্থানান্তর করা হচ্ছে |
জেলা প্রশাসন |
৫৮৫ |
বাস শ্রমিক ৭০০, ট্রাক চালক ৮০০, ভোমরা বন্দরের ২০০০ |
২ টি ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে |
গত ৭/৮ দিনে নারায়নগঞ্জ, মাদারিপুর এবং শরিয়তপুর থেকে সেখানে ঘোষিত লক ডাউনের মধ্যেও 1২ হাজারের মত মানুষ সাতক্ষীরা জেলাতে এসেছে। এদের মধ্যে 2৯৮৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং ৮০৬৪ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৬ জন, শ্যামনগর উপজেলায় ৮6 জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৮৩৩ জন এবং আশশুনি উপজেলায় ২৫ জন, দেবহাটা উপজেলায় ২৮ জন, তালা উপজেলায় ১০00 জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং আনসার ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।যে সকল মানুষ লক ডাউন উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলা থেকে সাতক্ষীরা জেলা সীমান্তে আসছে। যারা ফিরে আসছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ১9৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ২2 জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ।
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন এমন মধ্যবিত্ত পরিবারের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করে এখন পর্যন্ত 5৮৫ পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবার ছাড়াও অনেকে অতিরিক্ত এসএমএসও ফোন দিচ্ছেন। সেকারণে এসএমএসএর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমটি বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, জেলা প্রশাসকের মোবাইলে যারা মেসেজ করেছেন তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মেয়র, উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। আপনারা যারা এখনো সহযোগিতা পাননি তারা খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে যাবেন।
প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাহিরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া মোট বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা, পৌরসভার অনুকূলে 850 মেঃ টন চাল এবং ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার মেয়রগণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে এই ত্রাণ সহায়তা কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ৬25০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সকল সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে সকলকে ব্যাগের গায়ে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” কতাটি লিখে দেয়া হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলায় বরাদ্দ কৃত ত্রাণ সহায়তা উপজেলা ও পৌরসভাওয়ারী বন্টন করে দেয়া হয়েছে। সাতক্ষিরা সদর উপজেলায় 136 মেট্রিক টন চাল ও নগদ 6,0৩,৫০০/- টাকা, কলারোয়া উপজেলায় 92 মেট্রিকটনচাল ও নগদ 4,৩০,০০০/- টাকা, তালা উপজেলায় 105 মেট্রিক টন চাল ও নগদ 4,7৪,০০০/- টাকা, আশাশুনি উপজেলায় 97 মেট্রিক টন চাল ও নগদ 4,৮৪,০০০/- টাকা, দেবহাটা উপজেলায় 66 মেট্রিক টন চাল ও নগদ 3,3৭,০০০/- টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় 9৬ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪,6১,৫০০/- টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় 116 মেট্রিক টন চাল ও নগদ 5,3৫,০০০/- টাকা, সাতক্ষীরা পৌরসভা 108 মেট্রিক টন চাল ও নগদ 4,9৭,০০০/- টাকা এবং কলারোয়া পৌরসভা 34 মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১,2৮,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া, দোকান খুলে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দোকানদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘরে থাকুন, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন, নিরাপদে থাকুন। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ।
জনস্বার্থে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এস এম মোস্তফা কামাল
জেলা প্রশাসক
সাতক্ষীরা
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস